এশিয়া কাপ ২০২৩: বাংলাদেশ স্কোয়াড এবং এশিয়া কাপের প্রস্তুতি

এশিয়া কাপ ২০২৩ এর বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের প্রস্তুতি এবং স্কোয়াড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকছে আজকের পর্বে। সকল অপেক্ষার পালা ফুরিয়ে এবার শুরু হতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ ২০২৩ এর ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। অনেকটাই হাইব্রিড মডেলে পাকিস্থান এবং শ্রীলংকায় যৌথভাবে আয়োজন করেছে এশিয়া কাপের। দুটি দেশে এশিয়া কাপের সর্বমোট তেরটি ম্যাচ খেলা হবে।

টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চলেছে মোট ছয়টি দেশ। ইতিমধ্যে এশিয়া কাপে অংশ নিতে যাওয়া দলগুলো তাদের দলের শক্তিশালী স্কোয়াড প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশও তাদের এশিয়া কাপের স্কোয়াড প্রকাশ করেছে সম্প্রতি। তবে স্কোয়াডে নেই ইনজুরিতে থাকা তামিম ইকবাল এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্কোয়াডে না থাকা নিয়ে অনেক বিতর্ক চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে।

এদিকে ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপে দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে যাওয়া তামিম ইকবাল থাকছেন না এশিয়া কাপের আসরে।

পিঠের চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছেন তিনি। এছাড়াও একেবারে অধিনায়কত্ব থেকে অব্যহতি দিয়েছেন তিনি।

আর তাই সাকিব আল হাসানকে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যাবে।

এশিয়া কাপ ২০২৩ – এর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট স্কোয়াড

লিটন কুমার দাস (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন চৌধুরী, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, তানজীদ হাসান তামিম, মেহেদী হাসান।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ:

লিটন কুমার দাস (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ নাঈম শেখ/তানজীদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন ধ্রুব/শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান।

এশিয়া বাংলাদেশের প্লেয়িং ইলেভেন অনেকটাই অরূপ হবে বলে আশা করা যায়।

টুর্নামেন্ট ফরম্যাটঃ এশিয়া কাপ ২০২৩

এশিয়া কাপ ২০২৩ এর খেলা হবে একদিনের আন্তর্জাতিক ফরমেটে। অর্থাৎ ওডিআই ফরমেটে ৫০ ওভারে এশিয়া কাপের প্রতিটি ম্যাচগুলো খেলা হবে। প্রতি দুই বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া কাপ।

যার রয়েছে দুটি ফরমেট। সবশেষ ২০২২ সালে টি টোয়েন্টি ফরমেটে এশিয়া কাপের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

তবে এশিয়া কাপ ২০২৩ আসরে ম্যাচগুলো ওডিআই ফরমেটে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের অতীত পারফরমেন্স

বিশ্বকাপের মতই এশিয়া কাপ ক্রিকেটেও বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতায় নেই কোনো শিরোপা জয়ের রেকর্ড।

বিগত বছরগুলোতে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স তুলনামূলক ভালো হয়ে থাকলেও বাংলাদেশ দলের আজও এশিয়া কাপের শিরোপা না জেতার আক্ষেপ থেকেই যাবে।

এশিয়া কাপে এই পর্যন্ত ১৫টি মৌসুমের খেলা সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ এই পর্যন্ত ১৪টি মৌসুমে খেলেছে।

তবে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম কোনো এশিয়া কাপ শিরোপা জয় করতে পারেনি।

ইতিহাসের পরিসংখ্যান বলছে ভারত এশিয়ার অন্যতম সফলতম দল। তারা সপ্তমবারের মত শিরোপা জিতেছিল ২০১৮ সালে।

অন্যদিকে এশিয়া কাপের অন্যতম দল শ্রীলঙ্কা, যারা ছয়বার নিজেদের ঘরে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল।

এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দল শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে তৃতীয় শিরোপাজয়ী দল হচ্ছে পাকিস্থান, যারা শিরোপা জিতেছে দুটি।

এশিয়া কাপের ইতিহাসে বাংলাদেশের সেরা অবস্থান ছিল পরপর দুইবার ফাইনালে রানার্স আপ হওয়া।

এছাড়াও ২০১২ সালে রানার্স আপ হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম।

সর্বোপরি, বাংলাদেশের এশিয়া কাপ ইতিহাসে তারা তিনবার ফাইনাল খেলেছে এবং তিনবার তারা রানার্স আপ হয়েছে এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টে।

এশিয়া কাপ ফাইনাল ২০১২

২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ২৩৭ রানের টার্গেট দেয় পাকিস্থান দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেও ২ রানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ।

সেবার প্লেয়ার অফ দ্যা সিরিজের পুরস্কার জিতেছিলেন সাকিব আল হাসান।

এশিয়া কাপ ফাইনাল ২০১৬

২০১৬ এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম মুখোমুখি হয় ভারতের। উক্ত ম্যাচে বৃষ্টি আইনে খেলা ১৫ ওভার পর্যন্ত চলে। ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১২০ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে যায় ভারত।

উক্ত ম্যাচে ম্যাচ সেরা পুরস্কার পেয়েছিল শেখর ধাওয়ান, যিনি ৪৪ বলে ৬০ রানের একটি দারুন ইনিংস দলকে উপহার দেন।

বাংলাদেশের হয়ে প্লেয়ার অফ দ্যা টুর্নামেন্ট জিতেছিলেন সাব্বির রহমান।

এশিয়া কাপ ফাইনাল ২০১৮

সবশেষ ২০১৮ ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ, এবং তাদের প্রতিপক্ষ ছিল গতবারের ভারত। লিটন দাস এবং মেহেদী মিরাজ উক্ত ম্যাচে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশের হয়ে। কিন্তু লিটনের আউট শেষে একের পর এক উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ।

ফলাফল হিসেবে, ৪৮.৩ তম ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দল সংগ্রহ করে ২২২ রান।

লিটন দাস সেদিন ১১৭ বলে ১২১ রান করে প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ জিতেছিলেন।

দ্বিতীয় পর্বে ভারত ব্যাট করতে নেমে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করে ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয়।

এটি ছিল ভারতের সপ্তম এশিয়া কাপের শিরোপা জয়। জয়ের অনেক কাছাকাছি গিয়েও হেরেছিল বাংলাদেশ দল।

এটি ছিল বাংলাদেশের এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ইতিহাস। সর্বোপরি তিনবার রানার্স আপ হওয়ায় বাংলাদেশের এশিয়া কাপের রেকর্ড।

আর তাই ২০২৩ সালে শক্তিশালী স্কোয়াডের সাথে বাংলাদেশের লক্ষ্য থাকবে শিরোপা জয়ের।

বাংলাদেশের এশিয়া কাপের প্রস্তুতি

বাংলাদেশের এশিয়া কাপের প্রস্তুতি অনেকটাই সম্পন্ন, তবে এখনও পুরোদমে চলে দলের এশিয়া কাপ প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ দলের সাথে যুক্ত হয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

দলের সাথে যুক্ত হয়ে শুরু করে দিয়েছেন নিজেদের এশিয়া কাপের প্রস্তুতি।

অন্যদিকে, মনস্তাত্বিক প্রশিক্ষণ নিতে আগুনের উপর হেঁটেছেন নাঈম শেখ।

ইতিমধ্যেই তাদের আগুনের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার ভিডিওটি বেশ ভাইরাল হয়েছে।

দলের বাকি সদস্যরা নিয়মিত আসছেন মাঠে এবং নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের প্রশিক্ষণ।

আর এতেই পূর্ণতা পাচ্ছে বাংলাদেশ দলের স্কোয়াডের এশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিপর্ব।

সবকিছু ঠিক থাকলে ৩১ আগস্ট তারিখে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল।

নিজেদের শক্তিশালী একাদশের সাথে সাকিবের নেতৃত্বে জয়ের আশায় মাঠে নামবে তারা। পাকিস্থানে অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচটি। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের এশিয়া কাপের প্রস্তুতি চলছে ধারাবাহিকভাবেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Top Rated Betting Sites
Crickex

Gift Point Exchange with Real Cash

Betvisa

20% Daily Reload Bonus on Slots

MostPlay

Claim Baccarat Insurance Bonus

Marvelbet

100% Sports Welcome Bonus

Jeetwin

100% Live Casino Welcome Bonus